Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯

সাপাহার, নওগাঁ

“সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সেমিনার ও আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র উপজেলার সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শাহজাহান হোসেন। ডিসেম্বর মাসে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামানা করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন কোন স্বপ্ন নয়, এখন বাস্তব। সবকিছুর ভাল মন্দ দিক থাকে। প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। তিনি সবাইকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন এবং গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে সাপাহারবাসীর পক্ষ থেকে ডিজিটাল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তাঁদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের সফলতা কামনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধূ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই। সবাইকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করার আহবান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

সাপাহার উপজেলা কার্যালয়ে কর্মরত আইসিটি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মোহাঃ মোস্তাকিম হোসেন স্বাগত বক্তেব্যে সবাইকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস এবং বিজয় দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে দিবসটির সফলতা কামনা করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি সেক্টরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে সবাইকে সচেতন ভাবে ইনটারনেট ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এই দিবসের সময়পযোগী প্রতিপাদ্য বিষয়-“সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে”। তিনি এই বিষয়ে সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং অনলাইনে শেয়ার করার পূর্বে আমরা যেন ভাবি যাতে কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনষ্ট না হয়। কারও কোন ধর্মীয় অনুভুতিতে যেন আঘাত না লাগে ঐ বিষয়ে সচেতন থাকি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), মোঃ সোহরাব হোসেন উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন । তিনি বলেন ’৭১ এর সকল শহীদদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র, একটি পতাকা, একটি দেশ। এই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ত আমাদের সকলের। জনগনের দোরগোড়ায় সকল সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন সৈনিক হিসেবে আমরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ডিজটাল বাংলদেশ বিনির্মানের যে মহাপরিকল্পনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের উপহার দিয়েছেন তার জন্য সাপাহার উপজেলার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি সবাইকে ইন্টারনেট বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কিছু শেয়ার করার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বিষয়ক কুইজ ও প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে “আমার দেখা ডিজটাল বাংলাদেশ” বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসের সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্কুলেরে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, উপজেলা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। সকল অংশগ্রহনকারী এই ধরনের আয়োজন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং জন সাধারনকে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরও সচেতন হতে সহায়তা করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

 

...................................................................................................................................................

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত তিন বছর ধরে এই দিনে পালিত হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’। এ বছরও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামসহ (বিআইজেএফ) বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন নানা আয়োজনে দিনটি পালন করছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বেলা দুইটায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করবে। মিছিল শেষে রাজধানীর জিপিওতে হবে আলোচনা সভা। এরপর থাকছে পিঠা উৎসব। সারা দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। মন্ত্রী সপরিবার অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। এবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ‘সংযুক্তিতে উৎপাদন, দেশের হবে উন্নয়ন’ বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য করে দিবসটি পালন করছে।

‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সকাল সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের আয়োজন। সকাল ১০টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছে র‍্যালি। এতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হবে কনসার্ট ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ।

এদিকে, দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামও (বিআইজেএফ) দিবসটি পালন করছে। রাজধানীর জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলবে এই অনুষ্ঠান। থাকবে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা।

....................................................................................................................................................................................................................................................................

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৮

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) পালিত হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৮’। 

দিবসটি উদযাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা, রোবো ওয়ার, পাজল গেম শো, পথ প্রদর্শনী, দেশব্যাপী অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রচনা প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কিত আলোচনা সভা।

দিনের শুরুতে আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্টজনদের সম্মাননা দেওয়া হবে। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ অন্যরা। 

এছাড়া একই স্থানে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে ‘সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং রোবো ওয়ার ও জাতীয় পর্যায়ে অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানসহ আইসিটি খাতের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

....................................................................................................................................................................................................................................................................

দুয়ারে কড়া নাড়ছে  ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭

আর মাত্র এক মাস। তারপরই শুরু হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী “ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড”। আগামী ৬-৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার  (বিআইসিসি)-তে ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির এই মহাযজ্ঞ। আগামী ৬ ডিসেম্বর সকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের “ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭” এর উদ্বোধন করবেন।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ আয়োজন প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেক দূর এগিয়েছি।আমরা সকল স্টেকহোল্ডারদেরকে পলিসি সহায়তা এবং প্রণোদনা প্রদান করছি, হার্ডওয়্যার সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছি, ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ করেছি এবং আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল রয়েছে। তাই, আইসিটি-ইকোসিস্টেমের সকল অনুষঙ্গে আমরা এখন প্রস্তুত।”

দেশবাসীকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মহাযজ্ঞে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সামনে যেমন অফুরান সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে তেমনিভাবে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন করছে। এ সকল সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার মাধ্যমে নিয়ত পরিবর্তনশীল তথ্যপ্রযুক্তির বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি, বিগ ডাটা এনালাইটিকসহ তথ্যপ্রযুক্তির চলমান ও ভবিষ্যৎ ধারায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আর এসব বিষয়ের উপর সম্যক ধারণা পেতে চলে আসুন বিআইসিসি-তে আয়োজিত “ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭” এ বিশাল কর্মযজ্ঞে।

বরাবরের মত আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে আয়োজন সহযোগী হিসেবে থাকছে  বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল(বিসিসি), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস) ও একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই)। 

এবারের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে “আগামীর জন্য প্রস্তুত-রেডি ফর টুমরো”। মূলত এ প্রতিপাদ্য তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের অর্জন ও অগ্রগতিকেই প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ এখন আর অনুসরণকারী নয় বরং ভবিষ্যৎ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রস্তুত মানব সম্পদ; প্রস্তুত অবকাঠামো।

এবারের মেলা বৃহৎ পরিসরে ও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ৪ দিন ব্যাপী এই আয়োজনে গুগল-নুয়ান্সসহ খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক বক্তা মোট ২৪ এর অধিক সেমিনারে অংশ নেবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইটি ক্যারিয়ার-বিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে থাকবে ডেভেলপার সম্মেলন। প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য প্রদর্শনীতে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপো, স্টার্টআপ জোন, কিডস জোন, মেড ইন বাংলাদেশ জোন এবং ইন্টারন্যাশনাল জোন ছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

মেলার পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং(বাক্য),ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ই-ক্যাব), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম(বিআইজেএফ), বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটি(বিআইডব্লিউটি), সিটিও ফোরাম। 

মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সবার প্রবেশাধীকার উম্মুক্ত থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অথবা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর অফিসিয়াল ওয়েবসইট www.digitalworld.org.bd- এর মাধ্যমে মেলায় প্রবেশের জন্য অগ্রমী রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রয়েছে।

Facebook page- www.facebook.com/DigitalWorldBangladesh

Facebook event-   www.facebook.com/events/513624078991163

.......................................................................................................................................................................................................

শুরু হলো দু’দিন-ব্যাপী  জাতিসংঘের এপিআইএস স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম অধিবেশন


আজ সকালে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁও এ জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক (এসকাপ) এর এশিয়া প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে (এপিআইএস) এর স্টিয়ারিং কমিটির দু’দিনব্যাপী অধিবেশন উদ্বোধন হলো।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মহিত বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ঘোষণাকে বাস্তবতায় রূপ দেয়ার মাধ্যমে গত নয় বছরে বাংলাদেশের  আইসিটি খাতে আজ অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। এই খাতকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
অর্থ মন্ত্রী এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে (এপিআইএস) এর মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও উপকৃত হবে। 
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আজ আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি সৌভাগ্যবানদের একজনও বটে। ভাবতেই ভালো লাগছে যে, আমি এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে আইসিটি ব্যাকবোনকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব করেছিলাম। এসকাপ কমিটি অন আইসিটি আমার সে প্রস্তাব গ্রহণ করার মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপারহাইওয়ে(এপিআইএস) উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশকে এই এপিআইএস এর ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি নির্বাচিত করে। 
প্রতিমন্ত্রী পলক এ সময় আরও বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘœ করতে জাতিসংঘের এসকাপভূক্ত সকল দেশ মিলে এপিআইএস এর ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এপিআইএস এর এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এপিআইএস এর স্টিয়ারিং কমিটি আগামী দু’দিনে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র, সমন্বয় এবং বাস্তবায়নের কার্যকর উপায় বের করতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।  
প্রতিমন্ত্রী এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নানাবিধ কার্যক্রম তুলে ধরে আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের সকল নাগরিককে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে চলেছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।  
অতিথির বক্তব্যে ইউএনএসকাপ এর প্রোগ্রাম ইকোনমিকস এন্ড ফাইন্যান্সিং এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি হং জো হাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় বলেই তা আজ অনকে দেশ গ্রহণ করেছ। ফলে বাংলাদেশ আজ অন্যান্য দেশের কাছে রাইজিং স্টার। 
এপিআইএস ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি ও আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এপিআইএস এর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তা মাথাপিছু নি¤œ ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারকারী স্বপ্লোন্নত দেশের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে মাথাপিছু ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পাবে এবং তা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে ট্রান্সপোর্ট ডিভিশনের সচিব জনাব মো: নজরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: মোফাজ্জল হোসাইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুশান্ত কুমার সাহা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত)  মনোয়ার আহমেদ ও লার্ন এশিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য যে, এপিআইএস এর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে স্টিয়ারিং কমিটির এই অধিবেশনে জাতিসংঘের এসকাপভূক্ত ৫৬ দেশের প্রতিনিধিসহ দেশী-বিদেশী  শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে। এই অধিবেশনে এপিআইএস এর মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত কানেক্টিভিটি, ইন্টারনেট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, ই-রেসিলিয়েন্স এবং ব্রডব্যান্ড ফর অল -- এই চারটি স্তম্ভ এবং মধ্যবর্তী মেয়াদে (২০১৬-১৮) বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গত ২৯-৩০ আগস্ট ২০১৬ চীনের গুয়াংজুতে এপিআইএস ওয়ার্কিং গ্রুপের এর দ্বিতীয় সভায় বাংলাদেশকে এক বছরের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক এপিআইএস ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। 
এপিআইএস এর চার স্তম্ভ¬ বাস্তবায়ন এশিয়ার প্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল বিভাজন  দূর করায় যেমন ভূমিকা রাখবে তেমনি সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ট্রাফিক চলাচলের জন্য বিদ্যমান ব্যয় হ্রাস করবে। একই সঙ্গে স্বল্প ব্যয়ে উচ্চগতির টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের সুযোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করবে।

......................................................................................................................................................................

Bangladesh Women ICT Frontier Initiative(WIFI) Launching

Women ICT Frontier Initiative(WIFI) শীর্ষক (Training of Trainers Workshop) TOT ওয়ার্কশপ টি আগামী ৩ ও ৪ জুলাই ২০১৭ তারিখে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলের সুরমা/মেঘনা হল রুমে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার "ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী" , বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী "বেগম মেহের আফরোজ চুমকি" ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী "জুনাইদ আহমেদ পলক" উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।